You are using an outdated browser. For a faster, safer browsing experience, upgrade for free today.

5 Easy Breathing Excercise

PVC Door Category

Menss experimentum in tectum! Ubi est fortis lura? Ridetis saepe ducunt ad dexter equiso. Cobaltums sunt lunas de salvus rumor. Est flavum assimilatio, cesaris. A falsis, extum brevis vox. Cum racana messis, omnes fideses convertam talis, neuter frondatores. Barbatus mensa.

করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ প্রায় শেষের দিকে, তৃতীয় ঢেউ দাঁড়িয়ে দরজায়, এমতাবস্তায় প্রত্যেকটি দিন প্রত্যেকটি মুহূর্ত কাটছে আমাদের আতঙ্কের সাথে তার ওপর আমাদের দেশের জনঘনত্ব। এই জনঘনত্বের কারণেই আমাদের দেশ ভারতবর্ষে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি, এটা আমরা সবাই জানি। এ কোভিড-১৯ ভাইরাসটি কার্যত আমাদের ফুসফুসকে সংক্রমিত করে ফুসফুসকে বিকল করে দেয়। আমরা যখন নিঃশ্বাস নি, নাকের ভেতর দিয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি আমাদের শ্বাসযন্ত্র প্রবেশ করে এবং সেটি যখন গিয়ে মুখ্য শ্বাসনালীতে, অর্থাৎ আমাদের ট্রাকিয়া তে গিয়ে হাজির হয়, সেখান থেকে সে ইনফেকশন স্টার্ট করে। আমাদের ট্রাকিয়া টি যখন ইনফেক্টেড হয়ে যায়, সেটি ফুলে যায় এবং তার লক্ষণ স্বরূপ গায়ে গুস গুসে জ্বর, গলাব্যথা এসমস্ত লক্ষণ গুলি দেখতে পাওয়া যায়, যেগুলি করোনা সংক্রমনের প্রাথমিক লক্ষণ। আমাদের ফুসফুসের ভেতরে অসংখ্য ছোট ছোট এয়ার সেক্স রয়েছে, যেগুলোকে আমরা আলভিওলাস বলি। এই  কোভিড-১৯ ভাইরাসটি ধীরে ধীরে প্রত্যেকটি অ্যালভিওলাসের ভিতরে ঢুকে, অ্যালভিওলাসের মুখগুলো ব্লক করে দেয়। আবার প্রত্যেকটি অ্যালভিওলাসের চারিদিকে অসংখ্য সুক্ষ সুক্ষ ব্লাড ভেসেলস রয়েছে, যেগুলোকে আমরা ক্যাপিল্লারিজ বলি। ক্যাপিলারিজ গুলি তখন জমাট বাঁধতে শুরু করে, আর এই ক্যাপিলারিজ গুলি যখন জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখনই ঘটে বিপত্তি, তখনই পেশেন্টের দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট।

আমরা বাড়িতে বসে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়াম করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের ফুসফুসকে এই সমস্ত সমস্যা থেকে অনেকখানি রেহাই দিতে পারব, বা ধরুন যে সমস্ত পেশেন্টরা কোভিড-১৯ ভাইরাস এর সাথে লড়াই করে দুর্বল ফুসফুস নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তারপরে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, গায়ে গুস গুসে জ্বর এই সমস্ত লক্ষণগুলি থেকে যায়, এগুলি অ্যাকচুয়াল পোস্ট কোভিড রেসিডুয়াল নিউমোনিয়ার লক্ষণ। এই সমস্ত লক্ষণগুলি দেখে তারা ভয় পেয়ে আবার ডাক্তারবাবু কাছে ছুটে যান। ডাক্তার বাবু তাদের ট্রিটমেন্ট স্বরূপ প্রথমে সিম্পটোমেটিক ট্রিটমেন্ট  এবং তারপরে ব্রিদিং এক্সারসাইজ কাউন্সেলিং করতে দেন।

নমস্কার, আমি কৃষ্ণার্জুন মুখার্জি, হেলথ ক্রিপশন-এ  আপনাদেরকে অনেক অনেক স্বাগতম। আজ আপনাদেরকে তেমনি পাঁচটি শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়াম বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ দেখাবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

আমরা প্রথমে যে এক্সারসাইজটি আপনাদেরকে দেখাব, সেই এক্সারসাইজটি হলো হোল্ডিং  ব্র্যাথ এক্সারসাইজ। এই  হোল্ডিং  ব্র্যাথ এক্সারসাইজ নামটি শুনেই আশা করি আপনারা বুঝেছেন এক্সারসাইজটি কেমন হবে। হোল্ডিং ব্র্যাথ মানে ব্র্যাথটিকে হোল্ড করে রাখা, বা শ্বাসটিকে আটকে রাখা, আমরা শ্বাস কেমন ভাবে নব কতক্ষণ ধরে শ্বাসটিকে ভেতরে আটকে রাখবো, কেমন ভাবে শ্বাস ছাড়বো - পুরো নিয়মটাই আপনাদেরকে সহজে বোঝানোর চেষ্টা করব।

আমরা নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস নেব ততক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস নেব, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারি। তারপর আমরা শ্বাসটিকে ভেতরে হোল্ড করে রাখবো বা আটকে রাখব, ততক্ষণ পর্যন্ত আটকে রাখব, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা শ্বাসটিকে ভেতরে আটকে রাখতে পারি। তার থেকেও 2-4 সেকেন্ড বেশি আটকে রাখার চেষ্টা করব, তারপর আমরা গরম খাবারে যেমন ফুঁ-দি  তেমন ভাবে ফুঁ-দেয়ার মতন করে মুখ দিয়ে আমরা শ্বাসটি ছাড়বো। এই এক্সারসাইজটি সকালবেলা 5 থেকে 10 সেট্স এবং সন্ধ্যেবেলা 5 থেকে 10 সেট্স করার চেষ্টা করব।

এখন আসা যাক দু'নম্বর এক্সারসাইজে,

আমরা দু'নম্বর যে এক্সারসাইজটি করব সেটি হল পার্শেদ লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ, পার্শেদ লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ টি এবং হোল্ডিং ব্র্যাথ এক্সারসাইজটি দুটোর মধ্যে পার্থক্য এক জায়গাতে আমরা এখানে ব্র্যাথটাকে বা শ্বাসটিকে হোল্ড করে রাখবো না, নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস নেব এবং মুখ দিয়ে ফুঁ-দেয়ার মতন করে শ্বাসটিকে ছাড়বো। এইভাবে সকালবেলা 5 থেকে 10 সেট্স এবং সন্ধ্যেবেলা 5 থেকে 10 সেট্স করার চেষ্টা করব। এই এক্সারসাইজটি করলে আমাদের লাংস-এ অক্সিজেনেশন বারে, অক্সিজেন ক্যাপাসিটি বারে এবং পোস্ট কোভিড পেশেন্ট দের ক্ষেত্রে লাংস-এ কিছু প্যাচেজ দেখতে পাওয়ায় যাই সেই প্যাচেজগুলি ইমপ্রুভ হয়ে যায়।

এবার আসা যাক তিন নম্বর এক্সারসাইজে,

তিন নম্বর এক্সারসাইজটি হলো বেলুন ব্লোইং এক্সারসাইজ। এই এক্সারসাইজটিতে আমরা নরমাল একটি বেলুন নেবো, বেলুন নিয়ে আমরা নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস টানব এবং বেলুনের ওপেনিং পোর্শনটা মুখের মধ্যে ধরে এক ধাক্কাতে বেলুন ফোলানোর চেষ্টা করব। আমরা খেয়াল রাখব আজকে যতটা ফোলাতে পারবো কালকে তার থেকে ফলানো টা বেশি করার চেষ্টা করব। এইভাবে দিনের দিন এটিকে গ্রেজুয়ালী বাড়ানোর চেষ্টা করব। এই এক্সেসাইজটি-ও সকাল বেলা 5 থেকে 10 সেট্স এবং সন্ধ্যেবেলা পাঁচ থেকে দশ সেট্স করার চেষ্টা করব।

আমরা চার নম্বর যে ব্রিদিং এক্সেসাইজটি করব,

এই এক্সারসাইজের মাধ্যমে আমাদের রেসপিরেটরি সিস্টেম-এর যেটি প্রাইমারি মাসেল ডায়াফার্ম, এই ডায়াফার্মটিকে  অনেক বেশি শক্তিশালী করে দেয়। আমরা যখন নিঃশ্বাস-নি তখন আমাদের ডায়াফার্ম মাসেলটি নিচের দিকে প্রেসার দেয় অর্থাৎ এবডোমিন এর দিকে প্রেসার দেয়, সেই এবডোমিন এর দিকে প্রেসার দেয়ার সাথে সাথে আমাদের থরাসিক ক্যাভিটি-টা এক্সপান্ড করে। আবার, যখন আমরা শ্বাস ছেড়ে-দি তখন এই ডায়াফার্ম আমাদের চেষ্টের দিকে প্রেসার দেয় এবং আমাদের থরাসিক ক্যাভিটি-টি তখন রিলাক্স হয়ে যায়। এর ফলে, আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অনেক বেশি আরামদায়ক বোধ করি। এই এক্সারসাইজটি করার সময় আমরা চেষ্টে একটি হাত দেব এবং এবডোমেন-এ একটি হাত দেব, খেয়াল রাখব যাতে আমাদের চেষ্টের থেকে এবডোমেন বেশি মুভমেন্ট করে, কখনোই এবডোমেন-এর থেকে চেষ্ট বেশি মুভমেন্ট করবে না। এবং এই এক্সারসাইজটি 3-4-5 সিস্টেমে করবো।

মনে রাখবেন, তিন সেকেন্ড আমরা শ্বাস নেবো, চার সেকেন্ড ধরে শ্বাসটি  ভেতরে আটকে রাখবো এবং পাঁচ সেকেন্ড লম্বা সময় ধরে পার্শেদ লিপ এক্সারসাইজের মতো আমরা শ্বাসটি ছাড়বো। আপনারা যদি চান তাহলে মনে মনে কাউন্টিং করতে পারেন।

এরপর আমরা যেই এক্সারসাইজটি করব, সে এক্সারসাইজটি হল থরাসিক এক্সপানশন এক্সেসাইজ।

এই এক্সারসাইজটির মাধ্যমে আমাদের থরাসিক ক্যাভিটি-টি এক্সপান্ড হয় এবং থরাসিক ক্যাভিটি যখন এক্সপান্ড হয় তখন আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই এক্সারসাইজটি করার সিস্টেম হল, আমরা নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস টানবো, শ্বাসটা যখন টানবো তখন আমাদের দুই হাত উপর দিকে তুলে মাথার দুই পাশে হাত দুটি ধরব। আবার যখন শ্বাস ছাড়বো তখন দুই সাইড দিয়ে আস্তে আস্তে হাত দুটি আমরা রিলাক্স পজিশনে নিয়ে আসব। এই সমস্ত এক্সারসাইজ গুলি শুধুমাত্র প্রি-কোভিড বা

পোস্ট-কোভিড পেশেন্ট দের ক্ষেত্রে নয়, এছাড়াও যারা শ্বাস যন্ত্রের বিভিন্ন প্রকার পুরনো রোগে ভুগছেন, যেমন ক্রনিক এস্তেমা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, বা মেটাসটেসিস লাংস ডিজিজ সেই সমস্ত পেশেন্টরা-ও বাড়িতে বসে এই এক্সারসাইজ গুলি অতি সহজে করতে পারবেন। তবে আমার পরামর্শ, যারা মেটাসটেসিস লাংস ডিজিজ-এ ভুগছেন, তারা যে ডাক্তারবাবুর আন্ডারে ট্রিটমেন্টে রয়েছেন, সেই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে নেয়াটা অবশ্যই বাঞ্ছনীয়। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

যদি ভালো লাগে, অবশ্যই আমার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন, লাইক করুন, এবং আপনাদের মতামত নিচের কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। আর আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এই ভিডিওটি  অনেক বেশি শেয়ার করুন যাতে এই এয়াওরনেস অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাই।

সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ।